লালমনিরহাট সদর উপজেলায় জ্বর-সর্দি কাশি নিয়ে ঢাকা ফেরত এক গার্মেন্টসকর্মীসহ এক শিশু মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মে) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ওই গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যু হয়। তিনি জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এর পর সকালে তিনি মারা যান। পরে গার্মেন্টসকর্মী ও শিশুর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনা উপসর্গ নিয়ে আবু তালেব (৫৩) ও ১০ মাস বয়সী এক শিশু আরিয়ানের মৃত্যু হয়। আবু তালেব লালমনিরহাট সদর উপজেলার তেলী পাড়ার আকবর কশাইয়ের ছেলে। মৃত শিশু আরিয়ান সদর উপজেরার বানভাষা এলাকার আরিফুল ইসলামে ছেলে।
লালমনিরহাট সদর হাসতাপাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আবু তালেব ঢাকা থেকে সদর উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। পরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন লালমনিরহাট সদর হাসতাপালের চিকিৎসরা।
এদিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানভাষা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ১০ মাস বয়সী শিশু আরিয়ান জ্বর,সর্দি নিয়ে মৃত্যু হয়। গত ৪ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে দুইজন আত্নীয় তাদের বাড়িতে দুই দিন থেকে চলে যান। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মৃত শিশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার দীপংকর রায় ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা ফিরত গার্মেন্টস কর্মী ও শিশুর বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আত্নীয় আসায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তি ও শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা করোনা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।